নির্বাচনকালীন সরকার যেভাবে চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট আগামী ৭ জানুয়ারি। তার আগেই মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দের কাজ সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন।

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সরকারের কার্যক্রমে পরিবর্তন চলে আসবে। সংবিধান কিংবা আইনে স্পষ্ট কিছু না থাকলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চর্চা অনুযায়ী তফসিলের পর পূর্ববর্তী সরকারই বহাল থাকবে, যা নির্বাচনকালীন বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে বিবেচিত হবে।

যেহেতু তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে, ফলে বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন শুধু রুটিন ওয়ার্ক বা স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাবে। এসময়ে সরকার কোনো নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না বা নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করবে না। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যেও এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

তবে মন্ত্রিসভায় থাকা তিনজন টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সরকারের যেসব মন্ত্রী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের সুযোগ-সুবিধা কিছু কমবে। নির্বাচনী প্রচারকাজে তারা সরকারি প্রটোকল পাবেন না।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তফসিল-পরবর্তী বর্তমান সরকার এভাবেই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

অন্যদিকে, গতবারের মতোই থাকছে এবারের নির্বাচনকালীন সরকার। যদিও এর আগেরবারের নির্বাচনকালীন সরকারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছিল। সবশেষ ২০১৮ সালে দুজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছাড়া বাকি সবার স্থান হয়েছিল নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায়।

যেহেতু তফসিলের পর সরকার শুধু রুটিন কাজ চালিয়ে যাবে, কোনো নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বা নতুন প্রকল্পও উদ্বোধন করতে পারবে না, এজন্য গত কিছুদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেষ হওয়া বড় প্রকল্পগুলো উদ্বোধনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এসময়ের মধ্যে নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছেন তিনি।

‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২’ অনুসারে গতকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার পরপরই শুরু হয়েছে ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়’। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত এই ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়’ বহাল থাকবে।

 


আর্কাইভ