কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ১৪ সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার , ০২ অক্টোবর ২০২৫

দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার

জহিরুল হক রাসেল, কুমিল্লা প্রতিনিধি।। 

কুমিল্লায় আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ১৪ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও দেবিদ্বার থানা পুলিশ। বুধবার ভোরে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে  তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর লালমাই থানায় দুটি ডাকাতের ঘটনা সংঘটিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে জেলাজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে জেলা পুলিশ। পরবর্তীতে জেলার বাঙ্গরাবাজার থানা এলাকায় ডাকাতদল সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে গোয়েন্দাসূত্রে প্রাপ্ত এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করায় সেখানে ডাকাতি করতে পারেনি। এসময় ডাকাত দলটি টার্গেট পরিবর্তন করে দেবিদ্বার এলাকায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে। এরপরই একটি কালো রংয়ের হাইয়েস গাড়িতে করে ডাকাত দল রওনা দেয়। গোপন সূত্রে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলা বাড়ি এলাকায় মহাসড়কে চেকপোষ্ট স্থাপন করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল গাড়ির দরজা খুলে ও জানালার গ্লাস ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ওই মাইক্রোবাসে থাকা ডাকাত দলের ১৩ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এবং পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহার বিশ্বাস নামে আরো একজনসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একটি মাইক্রোবাস, কুড়াল, রামদা, চাপাতি, স্টিলের রড, প্লাস, ব্যাগসহ ডাকাতির সরঞ্জাম ও কিছু স্বর্ণালংকার, নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আন্ত জেলা ডাকাত দলের সর্দার শাহ আলম ওরফে দুলাল (৪৮), মো. মনির হোসেন (৪০), মো. মামুন মিয়া (২৪), মাহবুব আলম (৩৮), আলমগীর হোসেন (৩০), মো. আল আমিন (৩২), মো. কামাল হোসেন (৩২), শরীফ ওরফে মোশারফ শরীফ (৩২), মো. সুমন (৩৩), মো. খোকন (৪০), আল আমিন (২৫), মো. সোহেল (২৬), মো. আব্দুল আউয়াল (৫০) ও নিহার বিশ্বাস (৪৮)।

 পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, এরা পেশাদার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও গ্রামীণ এলাকায় পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি চালিয়ে আসছিল। গ্রেফতারদের মধ্যে শাহ আলম ওরফে দুলালের বিরুদ্ধে ২৬টি, মনির হোসেনের বিরুদ্ধে ২১টি, সুমনের বিরুদ্ধে ১৩টি, সোহেলের বিরুদ্ধে ১৫টি এবং খোকনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা সম্প্রতি লালমাই, বরুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর এলাকায় সংঘটিত একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ডাকাতদলের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান  চলছে। 


আর্কাইভ