উইম্বলডনের ফাইনাল ম্যাচে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা হাড্ডাহাডি লড়ায়ে ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪, ৭-৬ (৭-৩) গেমে জিতে নেন জকোভিচ। এই নিয়ে সপ্তমবারের মত নিজের ঘরে তোলে নেন উইম্বলডনের শিরোপা।
এর আগের দুই দেখায় নিক কিরিওসের বিপক্ষে হেরেছেন সরাসরি সেটে। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণীর লড়াইয়ে দুই হারের প্রতিশোধ নিলেন নোভাক জকোভিচ। ২০১৭ সালে দুইবারের হারের শোধটা উইম্বলডন জয়ের মাধ্যমে নিলেন সার্বিয়ান এই গ্রেট।
চোটের কারণে রাফায়েল নাদাল উইম্বলডন সেমিফাইনাল থেকে থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ায় ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েই ফাইনালে জায়গা করে নেন কিরিওস। তবে বিনা লড়াইয়ে ফাইনালে উঠলেও তাকে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে হয় অগ্নি পরীক্ষার।
দুইবার জকোভিচকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে খেলতে নামা কিরিওস শুরুটা দারুণ করলেও জকোভিচের অভিজ্ঞতার সঙ্গে পেরে ওঠেননি।
৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ফাইনাল ম্যাচ ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪, ৭-৬ (৭-৩) গেমে জিতে নেন জকোভিচ। সপ্তমবারের মত বাগিয়ে নেন উইম্বলডনের শিরোপা।
এ নিয়ে টানা চতুর্থবার উইম্বলডন জিতলেন সুইস এই তারকা। একই সঙ্গে এটি তার ক্যারিয়ারের ২১ তম গ্র্যান্ডস্ল্যাম।
পাশপাশি জকোভিচ টপকে যান কিংবদন্তি টেনিস তারকা রজার ফেডেরারকে। ফেদেরারের গ্র্যান্ডস্ল্যামের সংখ্যা ২০টি। এখন শুধুমাত্র রাফায়েল নাদাল রয়েছেন তার ওপর। নাদাল এখন পর্যন্ত ২২টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন।
প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের মিশনের শুরুটা দুর্দান্তই ছিল কিরিওসের। সার্বিয়ান তারকাকে তিনি প্রথম সেটে হারিয়ে বসেন ৬-৪ গেমে। দৃশ্যপট বদলে যায় দ্বিতীয় সেটে।
প্রবল বিক্রমে ঘুরে দাঁড়ান জকোভিচ। দ্বিতীয় সেট ৬-৩ ব্যবধানে জিতে নিয়ে তৃতীয় সেটও নিজের করে নেন ৬-৪ সেটে।সবশেষ সেট টাইব্রেকে গড়ালেও নার্ভ ঠাণ্ডা রেখে ৭-৬ (৭-৩) গেমে সেট ও ম্যাচ নিজের করে নেন জকোভিচ। ফেডেরারের পর উইম্বলডনের অবিসংবাদিত রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন নিজেকে।
টেনিসের ওপেন যুগে সর্বোচ্চ ৮বার উইম্বলডন জিতেছেন ফেডেরার। তারপরই আছেন জকোভিচ। আর টানা জয়ের রেকর্ডেও দুইয়ে আছেন তিনি।
বিয়ন বর্গ ও ফেডেরার দুই জনই টানা ৫বার করে শিরোপা জিতেছেন বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামে।