রমযান মাসজুড়ে অসহায় গরীব রোজাদারদের ভরসা চেয়ারম্যান শাকিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার , ৩০ মার্চ ২০২৩

নওগাঁ প্রতিনিধি: পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাসজুড়ে অসহায়, গরীব, দিনমজুর, রিকশাচালক, পথচারী, দুঃস্থ ও নি¤œ আয়ের রোজাদারদের জন্য বিনামূল্যে ইফতারের আয়োজন করছেন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ ও পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল।


সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে এসব ইফতারি বক্স বিতরণ করেন মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তরুন সমাজ সেবক সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল। এসময় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি সদস্য শিহাব রায়হান, মাসুদ রানা, বদিউল আলম, আব্দুল মান্নান, ইউনুস আলী, বাদশা আলী, আজিজার রহমান, ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।


সরেজমিনে দেখা যায়, ছোলা বুট, মুড়ি, পিয়াজু, আলুর চপ, জুস, পানি, কলা, খেজুর, জিলাপি দিয়ে প্রতিদিন ২শ জন রোজাদারের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। অসহায় পথচারী ও রিকশাচালক, অটোরিকশাচালকরা তাদের গাড়ি থামিয়ে বিনামূল্যে এই ইফতার আয়োজন উপভোগ করছেন। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে পোলাও ব্যবস্থা আছে।  


চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিয়নে এমনও পরিবার আছেন যাদের রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ইফতারসামগ্রী সংগ্রহ করতে হিমশিম খেতে হয়। আবার অনেক পরিবারের শিশু ও বয়স্করা রয়েছেন যাদের ইফতার কেনার সামর্থ্য নেই। এমন অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারদের সহযোগিতা করতে ইউনিয়ন পরিষদ এবং চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।  পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে দু’শর বেশি মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হবে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ছাদে বসে খাওয়া ব্যবস্থা আছে। এব্যাপারে তিনি সকলের দোওয়া ও আশিবাদ কামনা করেন।


সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, বর্তমানে নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তাই ইফতার আয়োজন করা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। চেয়ারম্যানের এমন সহযোগিতা আমাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করবে। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে ধন্যবাদও জানান।


ইফতার আয়োজনে অংশ নেওয়া রিকশাচালক নজরুল ইসলাম বলেন, এখান থেকে যাচ্ছিলাম হঠাৎ দেখি ইউপি ভবনে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। আমাদেরকে ইফতার করার জন্য ডাকছে। আমি রিকশা পাশে রেখে ইফতার নিলাম পরিষদের ছাদে বসে ইফতার করলাম। আমাদের খুব ভালো লেগেছে এই আয়োজন দেখে।


দিনমজুর ইব্রাহিম বলেন, হোটেল থেকে কিনে ইফতার খেতে হলে আমার কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ হতো কিন্তু এখানে ইফতার করতে পেরে আমার সেই টাকা খরচ হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ যাদের সহযোগিতায় ইফতার করতে পেরেছি আল্লাহ তাদের দান কবুল করুক। পুরো রমজান মাসজুড়ে এই ইফতার কার্যক্রম চলমান থাকলে আমাদের মতো মানুষদের অনেক উপকার হবে।


আর্কাইভ