পটুয়াখালীতে এক মাসের মেডিকেল ছুটিতে লন্ডনে বছর কাটাচ্ছে শিক্ষিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ber ২০২৩

বিলাস দাস, পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীতে এক মাসের মেডিকেল ছুটি নিয়ে এক বছর অতিক্রম করে লন্ডনে অবস্থান করছেন এক নারী শিক্ষিকা। এমন অভিযোগ উঠেছে গলাচিপা উপজেলার ৭৯ পূর্ব লামনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন আক্তার লিজার বিরুদ্ধে। এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষিকার স্বাক্ষর নকল করে তার ছোট বোন আফরিন আক্তার গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে একটি অব্যাহতি পত্র জমা দিয়েছেন। যদিও আবেদনপত্রে স্বাক্ষর সন্দেহজনক হওয়ায় সেটি অফিসিয়াল ভাবে গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিধি বর্হিভুত ছুটি নিয়ে র্দীঘদিন লন্ডনে অবস্থানের প্রসঙ্গটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে নরেচরে বসেন সংশ্লিষ্টরা।

 

অভিযোগ রয়েছে-২০২২ সালের ১০ আগষ্ট এক মাসের মেডিকেল ছুটির আবেদন করে ১৫ আগষ্ট দেশের বাহিরে চলে যান শারমিন আক্তার লিজা। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লিজা কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি বলে দাবি প্রতিষ্ঠান প্রধানের। প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিবার লিজার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে লিজা তাদের নাম্বার কালো তালিকা ভুক্ত করেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা বলেন-প্রতিষ্ঠানটিতে ১৪১ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ছয়জন শিক্ষক রয়েছে। এরমধ্য শারমিনা আক্তার লিজা এক মাসের মেডিকেল ছুটি নিয়ে উধাও হয়েছে। যে কারনে শিক্ষাক্রমে চরম প্রভাব পরেছে। সহকারী শিক্ষক মো. ফরিদ খান বলেন-‘এক শিফটের স্কুলে একসঙ্গেই ছয়টি ক্লাস হয়। আমরা ছয়জন শিক্ষক একটানা পাঠদান করলে শেষের ক্লাসগুলোতে খুব ক্লান্ত বোধ করি। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক অফিসিয়াল কাজে স্কুলের বাইরে থাকলে বাকি পাঁচজনে কোনোভাবেই পাঠদান করা সম্ভব নয়। দ্রæত এ সমস্যা সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

 

প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক হেলেনা বেগম বলেন-২০২২ সালের ১০ আগষ্ট তৎকালীন প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র হাওলাদার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করে মেডিকেল ছুটি নেন সহকারী শিক্ষক শারমিনা আক্তার লিজা। পরবর্তীতে লিজা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে  জানান তিনি। এছাড়াও লিজার সঙ্গে তিনি একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু লিজা সকল যোগাযোগ মাধ্যমকে উপেক্ষা করেছেন। যা তিনি তার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আরও বলেন-এসব ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর গলাচিপা উপজেলা র্নিবাহী অফিসার আসছিলেন এবং বিস্তারিত যেনেছেন। এ প্রসঙ্গে গলাচিপা ইউএনও মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন-ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্যবস্থা নেবেন।

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর রেজাউল ইসলাম বলেন-বিষয়টি জানার পর ‘আমি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছি এবং লিজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা বখতিয়ার রহমান বলেন-উল্লেখিত ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে। নিতিমালা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।। 


আর্কাইভ