চলে গেলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : মঙ্গলবার , ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আবদুল্লাহ আল নোমান মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

আল-আমীন চৌধুরী,বিশেষ প্রতিনিধি : আজ  ২৫ ফেব্রুয়ারি ( মঙ্গলবার) ভোর ৬টার দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মৎস্যমন্ত্রী এবং খাদ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান মৃত্যুবরণ করেন।

 

আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর সরকারের  মৎস্য মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

 

ছাত্রজীবন শেষে আবদুল্লাহ আল নোমান মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। 

 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

 

শোক বার্তায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আব্দুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। দেশ ও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এক ত্যাগী, সাহসী, সংগ্রামী সজ্জন ও বর্ণাঢ্য রাজনীতিবিদকে হারাল। দেশ ও দলের জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। দেশের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তার অবদান দেশ, জাতি‌ ও দল চিরদিন মনে রাখবে। তার মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি নেতাকর্মীদের কাছে অমর হয়ে থাকবেন।

 

আমির খসরু মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।


আর্কাইভ