চার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৯১ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিলো স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। টেস্ট ক্রিকেটে নবাগত আয়ারল্যান্ড যে সেখানেই হেরে বসেছিলো, তা বলাই বাহুল্য। শুধু দেখার বিষয় ছিল, তাদের হারের ব্যবধানটা কত হয়। তবে, ব্যবধান যে এতটা বড় হবে, তা ছিল আইরিশদের কল্পনারও বাইরে।
কিন্তু দুই ইনিংস মিলিয়ে আয়ারল্যান্ড শ্রীলঙ্কার এক ইনিংসের কাছাকাছি পর্যন্ত যেতে পারেনি। বরং, শ্রীলঙ্কার এক ইনিংস তো বাকি ছিলই, সঙ্গে দুই ইনিংস মিলিয়েও শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের চেয়ে ২৮০ রান পেছনে পড়ে থাকতে হলো আয়ারল্যান্ড। অর্থ্যাৎ, গল টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে এক ইনিংস ও ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় বরণ করেছে আয়ারল্যান্ড।
লঙ্কানদের ৬ উইকেট করা ৫৯১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসেই ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ৪৪৮ রানেই প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকলো লঙ্কানরা। যার ফলে ফলোঅন করালো তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও লঙ্কান বোলিং তোপের মুখে পড়ে আইরিশরা। এবার তারা অলআউট হয়ে গেছে ১৬৮ রানে।
দ্বিতীয়দিন দ্বিতীয় সেশনেই শ্রীলঙ্কা ব্যাট করার জন্য উইকেট ছেড়ে দেয় আইরিশদের। দিনের বাকি অংশে ৪৫ ওভার ব্যাট করেছে আইরিশরা। এই ৪৫ ওভারেই ৭ উইকেট হারিয়েছিলো আয়ারল্যান্ড। ১১৭ রান করেছিলো তারা।
তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে সব মিলিয়ে ৫২.৩ ওভার খেলতে পেরেছে অ্যান্ডি বালবির্নির দল। অর্থ্যাৎ আজ সকালেই ৭.৩ ওভার ব্যাট করে আর মাত্র ২৬ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলো তারা। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন লরকান টাকার। ৩৪ রান করেন হ্যারি টেক্টর এবং ৩৫ রান করেন জেমস ম্যাককুলাম। ১৪ রান করেন পিটার মুর। অন্যরা দুই অংকের ঘরই স্পর্শ করতে পারেননি।
লঙ্কান স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়ার বোলিং তোপেই ধ্বংস হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৩ ওভারে ১০ মেডেন দিয়ে, ৫২ রান দিয়ে একাই নেন ৭ উইকেট। ২ উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো এবং ১ উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস।
ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই লঙ্কান বোলিং তোপের মুখে পড়ে আয়ারল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন হ্যারি টেক্টর। ৩২ রান করেন জর্জ ডকরেল, ৩০ রান করেন কার্টিস ক্যাম্ফার এবং ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন মার্ক অ্যাডেয়ার। শেষ পর্যন্ত ১৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
রমেশ মেন্ডিস নেন ৪ উইকেট। প্রবাথ জয়সুরিয়া নেন ৩ উইকেট এবং ২ উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো।