সাব্বির হোসেন, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি মো. মোবারক হোসেন (কবিরাজ) আদালতে এমন চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি দিয়েছেন।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান।
পুলিশ জানায়, আসামি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার আগে সুমাইয়াকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশের মিডিয়া শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কথিত ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে ভিক্টিম পরিবারের সঙ্গে ওঠাবসার সুযোগ নেন মোবারক। সুমাইয়ার মা নিয়মিত তাকে বাবুস সালাম জমিরিয়া মাদরাসার পীর ইলিয়াস শাহের কাছে নিয়ে যেতেন। এভাবেই পরিচয় ঘটে মোবারকের সঙ্গে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ঝাড়ফুঁকের অজুহাতে প্রথমে শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে ধর্ষণ করেন মোবারক। ঘটনাটি দেখে ফেলায় সুমাইয়ার মাকেও হত্যা করেন তিনি। এরপর বাসা থেকে বের হয়ে পুনরায় ফিরে এসে শিক্ষার্থী সুমাইয়াকেও হত্যা করেন, যাতে সত্য গোপন থাকে।
এদিকে মোবারকের বিরুদ্ধে পূর্বেও ধর্ষণচেষ্টার মামলা রয়েছে। ২০২৩ সালের ২৪ জুন কুমিল্লার ধর্মপুর এলাকায় একটি মহিলা মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, আসামি ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কাপড়চোপড়, বিছানার চাদরসহ আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বিষয়টি আরও নিশ্চিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লার কালিয়াজুরি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একইদিন সন্ধ্যায় মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।